Grating

Grating

Wednesday, August 9, 2017

বাবামাই সন্তানকে নির্যাতন করেন সবচেয়ে বেশী

কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি কথা। কখনও জেনেশুনে, কখনও অজান্তে, আবার কখনও অনিচ্ছাসত্ত্বে বাধ্য হয়ে বাবামা সন্তানদের সাথে অহরহ এমন কিছু আচরণ করেন যার মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের উপর নির্যাতন করেন। কখনও শারীরিক, কখনও মানসিক নির্যাতন। সংখ্যায় কম হলেও কখনও কখনও সন্তানরা বাবা ও মা ( মা সন্তানকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পারেনা বলে বা নির্যাতনের কথা জেনেও চুপ করে থাকে বলে সে নিজেও নির্যাতনকারী) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। বাবামার নানা নির্যাতনের উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যেমন -

১। বাবামার ত্রুটিপূর্ণ প্রতিপালনঃ

ক) কলহপূর্ণ পারিবারিক পরিবেশঃ একটা শিশুর দেহ ও মনের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সুস্থ ও স্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশ খুবই জরুরী। মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা (গর্ভকালীন ও জন্ম পরবর্তী সময়ে) শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশকে চরমভাবে প্রভাবিত করে।

মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন যে, শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য ভগ্নগৃহ বা ব্রোকেন হোমের (পরিবারে মৃত্যু, বিবাহবিচ্ছেদ, সেপারেশন বা ডিজারশনের কারণে স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের অনুপস্থিতি) চেয়ে কলহপূর্ণ পরিবার ( যে পরিবারে বাবা-মা অধিকাংশ সময়ে কলহে লিপ্ত) অনেক বেশী ক্ষতিকর।

বাবা-মার ঘন ঘন কলহ শিশুর মনে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। কেননা তার নিরাপত্তা বিধান ও স্বার্থ রক্ষার একান্ত আশ্রয়স্থল (বাবা-মা) সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়ে। বাবা-মার দ্বন্দ্ব শিশুর আত্মদ্বন্দ্বে পরিণত হয়, যার মীমাংসা সে করতে পারেনা। পরিণামে শিশুর চরম মানসিক বিপর্যয় ঘটে। অনেক বাবামা সন্তানের সামনে কলহ করেন বা তাঁদের সমস্যা সমাধানে সন্তানকে মধ্যস্থতা করতে বলেন। অল্প অভিজ্ঞতার কারণে শিশু এ কলহ মেটানোর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে অপরাধবোধে ভোগে। এ কলহের জন্য নিজেকে দায়ী করে ও দুশ্চিন্তা নিয়ে বড় হয়। সে ভীরু হয় ও তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তাছাড়া বাবার দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনে মা যখন কষ্টে থাকে, তখন সে সন্তানদের দিকে প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে পারেনা। ফলে শিশুরা হতাশা, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা, অপরাধবোধ, স্নেহবঞ্চনা, দুশ্চিন্তা... এসবে ভোগে। অনেক বাবারা মায়ের সাথে সাথে সন্তানদেরও গালি দেয় ও মারে।

বাবা-মার মধ্যে কলহপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে বড় হলে শিশুদের নানারকম মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রচণ্ড মানসিক চাপ থেকে নানা মানসিক সমস্যা ও রোগ যেমন- দূর্বল ব্যক্তিত্ব, পরনির্ভরশীল, নানা পরিবেশ ও মানুষের সাথে সঙ্গতিবিধানের অক্ষমতা, কাউকে বিশ্বাস করতে বা ভালবাসতে না পারা, ট্রমা, এংজাইটি, ক্রনিক ডিপ্রেশন, ফোবিয়া, অবসেসিভ এন্ড কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পোস্ট ট্রমেটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার... ইত্যাদি হতে পারে।

পিতা-মাতার প্রত্যাখ্যান ( Parental Rejection) শিশুর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। পরকীয়া বা দ্বিতীয় বিয়ে বা অন্য কোন কারণে সন্তান বাবামার কাছে অবাঞ্ছিত হলে তারা সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত ঔদাসীন্য ও অনীহা প্রদর্শন করে। একে নিষ্ক্রিয় প্রত্যাখ্যান ( Passive Rejection) বলে। আবার কখনও বাবামা সন্তানের প্রতি রূঢ় ও উৎপীড়নমূলক আচরণ করতে পারে। একে সক্রিয় প্রত্যাখ্যান ( Active Rejection) বলে। এ উভয় প্রত্যাখ্যানই শিশুর উপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। তারা সমস্ত জগৎ সংসারকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর স্থান মনে করে। এরূপ পীড়নমূলক অবস্থায় নিজেকে সম্পূর্ণ অসহায় বোধ করে, তার সামাজিক অভিযোজন প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়। পরিণামে বিভিন্ন মানসিক গোলযোগে আক্রান্ত হয়। কৃত্রিম পরিবেশ ( যেখানে সামাজিক কারণে বাবা-মা সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে কোন সুসম্পর্ক থাকেন।) ও শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ নারী তার নিজ গৃহে অতি আপনজন দ্বারা নির্যাতিত। তারমানে এই আশি ভাগ নারীর সন্তানেরা প্রতিনিয়ত মাকে নির্যাতিত হতে দেখে। এসব কলহপূর্ণ পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুরা ভয়, দুশ্চিন্তা, কষ্ট নিয়ে বড় হয় যা তাদের প্রতি বাবামা দ্বারা মানসিক, কখনও কখনও শারীরিক নির্যাতন।

খ) বাবামার অতিরক্ষণঃ কিছু বাবামা সন্তানদের অতিরিক্ত আগলে রেখে বড় করেন। তাদেরকে নিজে নিজে কোন কিছু করার স্বাধীনতা দেননা। সবসময় বাবামার হুকুম মেনে চলতে বাধ্য করেন। হুকুম না মানলে বাবামা দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

গ) অরক্ষণঃ কোন কোন বাবামা নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সন্তানের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল করতে পারেন ন। সন্তানের দেখাশোনা কাজের লোকের উপর দিয়ে রাখেন। সন্তান কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কার সাথে মিশছে, এসব কিছুই খেয়াল করেন না। এসব শিশুকে অরক্ষিত শিশু বলে। এসব শিশুরা সহজে নানা নির্যতনের শিকার হয়। তানহারা তার প্রমাণ। বস্তির শিশুরা অরক্ষিত বলেই তারা হারিয়ে যায়, পাচার হয়, নানা অপরাধে জড়ায়, কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়ে অঙ্গহানি করে ভিক্ষা করায়। অনাদরে বেড়ে ওঠা এসব শিশুরা অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়। বাবামার আর্থিক অসঙ্গতি কখনও কখনও শিশু শ্রম ও শিশু নির্যাতনের কারণ। সম্প্রতি কাজের মেয়ে নির্যাতনের বিভৎসতায় বিষয়টি প্রকটভাবে উঠে এসেছে।

ঘ) সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ত্বমূলক আচরণঃ বাবামার কোন কোন সন্তানের প্রতি ( ছেলে সন্তান, পড়ালেখায় ভাল সন্তান, ছোট বা অসুস্থ সন্তান ইত্যাদি) পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ অন্য সন্তানদের প্রতি, বিশেষ করে মেয়ে সন্তানের প্রতি মানসিক নির্যাতনের কারণ। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় মেয়ে সন্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু হয় তখন থেকেই যখন জানা যায় গর্ভস্থ শিশুটি মেয়ে। ছোটবেলা থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরিবার, প্রতিবেশী, স্কুল, খেলার সাথী, শিক্ষক, সমাজ - এদের কাছ থেকে দিনে দিনে একটু একটু করে শেখে যে মেয়েরা নীচু শ্রেণীর জীব, পুরুষের আজ্ঞাবহ, চাকর সমতুল্য এবং কোনমতেই সে পূর্ণাঙ্গ মানুষ নয়। 

ঙ) অতিরিক্ত পড়ার চাপঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থারয় সৃজনশীল পদ্ধতি, পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা, অতিরিক্ত পাঠ্য বই ও গাইড বই পড়ার চাপ, প্রাইভেটের চাপ, পরীক্ষার চাপ, ভর্তি পরীক্ষার তীব্র প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারণে আমরা ছেলেমেয়েদের সারাক্ষণ পড়তে বাধ্য করি যা ওদের প্রতি মানসিক নির্যাতন। আমরা ওদের খেলার, বিনোদনের সময় দেইনা। আগে পরীক্ষার পর ছেলেমেয়েরা আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যেত। এতে তাদের বিনোদন, আবেগিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ হতো। এখন ওরা পরীক্ষার পরের দিন থেকেই প্রাইভেট পড়ে। ফলে ওরা আত্মকেন্দ্রিক ও অমানবিক হয়ে গড়ে উঠছে। আমরা সবসময় পড়ার বিষয়ে সন্তানদের সামনে অন্য বাচ্চার তুলনা করি, নিজের সন্তানের দোষ ধরি, সমালোচনা করি, জোর করে নিজের মত ওদের উপরে চাপাই, পারিবারিক কোন বিষয়ে ওদের মত নেইনা,.. এগুলো সবই ক্ষতিকারক ও নির্যাতন।

চ) বাবামার অতি প্রশ্রয়ঃ 

কোন কোন বাবামা অতি প্রশ্রয়, অতিরিক্ত টাকা, মোবাইল, এসব দিয়ে সন্তানকে উশৃংখল বানান। সন্তানের অপরাধকে উপেক্ষা করেন। (যেমন আমিন জুয়েলারসের মালিকের ছেলে।)এতেও সন্তানের ক্ষতি হয়। বাবামার উচিত, তাঁদের যা আছে, সন্তানকে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে শেখানো। অপচয় না করতে শেখানোও দরকার। সন্তানের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে তার সব আবদার রাখা যাবেনা। তার কোন কথা মানা সম্ভব না হলে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া যাবেনা। আবার টাকা জমিয়ে না রেখে খরচ করাও জরুরী। সন্তানের ছোটখাট ইচ্ছা পূরণ করতে হবে।সন্তান দোষ করলে বাবামা একসাথে শাসন করতে হবে। একজন শাসন করলে ও অন্যকেউ প্রশ্রয় দিলে শিশুর আচরণ শোধরানো যাবেনা।

২। বাবামার অসৎ চরিত্রঃ 

বিজ্ঞানীররা প্রমাণ করেছেন যে, মানুষের আচরণের জন্য দায়ী তার জিন ও পরিবেশ। বাবামা ও শিশুর চারপাশের পরিবেশ ভাল হলে সন্তান ভাল হবে। আর বাবামা অপরাধী ও পরিবেশ খারাপ হলে শিশুও অপরাধী বা খারাপ হবে।

বাবামার অসৎ চরিত্র সন্তানদের মানসিক ক্ষতি করে সবচেয়ে বেশী। বাবামা পরকীয়া করলে, ঘুষখোর, দূর্নীতিপরায়ণ, অপরাধী হলে, বাবা একাধিক বিয়ে করলে, নিকট আত্মীয়দের দেখাশোনা না করলে, বৃদ্ধ বাবামাকে অবহেলা করলে সন্তানরাও তাই শেখে। ওদের সামনে কোন গুরুজনদের সমালোচনা বা মিথ্যে বদনাম করলে শিশুরা আপনার প্রতিও শ্রদ্ধা হারাবে, তাদের আচরণে সে অশ্রদ্ধা প্রকাশ পাবে। বৃদ্ধ বয়সে তারা আপনাক ঐশীর মত খুন করবে। অথবা বৃদ্ধাশ্রমে বা কোন মসজিদের বারান্দায় ফেলে রাখবে।

যেসব পরিবারে বাবা সব খারাপ বা নেতিবাচক ঘটনার জন্য (যেমন- সন্তান ফেল করলে, বখে গেলে, দোষ করলে, ভুল করলে, প্রেম করলে, চুরি করলে, ইত্যাদি) মাকে দায়ী করে এবং যেসব পরিবারে বাবা প্রায় সবসময় মাকে নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে, সেসব পরিবারের শিশুরা বাবার কাছ থেকে ওসব আচরণ অনুকরণ করে। পরে দাম্পত্য জীবনে তারাও একই আচরণ করে। এভাবে বংশ পরম্পরায় বাবা, স্বামী, ছেলে... এভাবে নারী ও শিশুদের প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতন চলতে থাকে।

সন্তানের সুস্থ রুচিবোধ তৈরী করে দেয়া, তাদের সাথে সময় কাটানো, তাদেরকে বোঝা জরুরী। অনেক বাবামা সময় অভাবে বা টাকা অপচয় হবে বলে পরিবারকে বেড়াতে নিয়ে যাননা। বাচ্চার পড়ার ক্ষতি হবে বলে অতিথি এ্যলাাও করেননা, গরীব আত্মীয়কে সাহায্য করেননা, অসুস্থ হলে সময়ের অজুহাতে দেখতে যাননা। সন্তানকে সামাজিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, মানবতা শেখাতে হলে নিজে এগুলোর চর্চা করুন। কারণ আপনিই শিশুর রোলমডেল। আপনাকে দেখেই শিশু শিখবে। মাঝে মাঝে একসাথে বেড়াতে যান। এতে পারিবারিক বন্ধন, আন্তরিকতা বাড়ে।

নিজে কোন ভুল বা দোষ করলে সন্তানকে 'সরি' বলুন, সন্তাকেও বলতে শেখান। সে যেন কোন কথা আপনার কাছে গোপন না করে। সন্তানের বন্ধু হোন। তাকে সত্যি কথা বলার, নিজের অপরাধ স্বীকার করার সৎসাহস তৈরী করে দিন। কোনভাবে আপনার সন্তান কারো দ্বারা নির্যাতিত হলে তার প্রতিকার করুন। কোনভাবেই তার প্রতি হওয়া কোন অন্যায় (যৌন নির্যাতন হলেও) গোপন করবেন না। তাতে সে আপনাকে ঘৃণা করবে।

৩। সন্তানের মতকে অগ্রাহ্য করাঃ

আমাদের সমাজে সন্তানের ইচ্ছার স্বাধীনতা কম। সেজন্যই পরিবার ছেলে বা মেয়েকে জোর করে অপছন্দের কারো সাথে বিয়ে দেয়। মেয়েদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর নির্যাতন, পরকীয়া, বহুবিবাহ.. সহ্য করে সংসার করতে বাধ্য করে, তালাক দিতে দেয়না। ছেলেরা অবশ্য বৌ পছন্দ না হলে তালাক দেয়, দিতে পারে। আমাদের সমাজে প্রেম করার অপরাধে মেয়েদেরকে বাবামা, ভাই, চাচারা পিটিয়ে তক্তা বানায় যা কোন সভ্য সমাজে ঘটেনা। বিয়ের পরেও বাবামা ছেলের বউকে যৌতুক ও নানা কারণে নির্যাতন করে। ফলে ছেলে কষ্ট পায়। কোন কোন মা বউয়ের মতকে প্রাধান্য দিলে ছেলেকে স্ত্রৈণ বলেন, আর মেয়ের মতকে প্রাধান্য দিলে জামাইকে মহান বলেন।

ভারতে ও পাকিস্তানে কোন ছেলে বা মেয়ে পরিবারের অমতে ভিন্ন ধর্ম, জাত বা স্টেটাসের কাউকে বিয়ে করতে চাইলে যদি পরিবার তাকে নিবৃত করতে না পারে, তাহলে পরিবারের সবাই মিলে পরিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে, কখনো কখনো তার প্রেমিকা বা প্রেমিকসহ তাকে হত্যা করা হয়। একে "honour killing" বা "পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে হত্যা" বলা হয়। সমাজ একে 'হত্যা' বা 'অপরাধ' মনে করেনা। কি জঘণ্য চিন্তা! নিজের সন্তানের সুখ, ভালবাসা, এমন কি জীবনের চেয়ে পরিবারের সম্মান বেশী প্রিয়, সম্মান রক্ষা বেশী জরুরী।

আমাদের অভিভাবকরা মনে করেন, বিয়ের জন্য ছেলের শিক্ষা, স্টেটাস বা উপার্জনটাই মূখ্য। নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের সমতূল্য বা বেশী হলেই মেয়ে সুখে থাকবে। মেয়ে তাকে পছন্দ করে কিনা, তার সাথে মানসিকতা মেলে কিনা - এসব দেখার দরকার নেই। অনেক ফালতু অজুহাতে ছেলেদেরকেও বাধ্য করা হয় অপছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে।

অভিভাবকরা মনে করেন, একবার বিয়ে হয়ে গেলেই ভালবাসা আসবে হাওয়া থেকে, আল্লাহর রহমত থেকে। না এলেই বা ক্ষতি কি? একবার বাচ্চা হয়ে গেলে ভাল না বেসে যাবে কোথায়? তখন তো আর তার উপায় নেই। বাড়ীতে কুকুর পুষলেওতো মায়া হয়, আর সেখানে স্বামী বা স্ত্রী!

অভিভাবকরা ছেলে- মেয়েদের সুখের কথা ভেবেই বড় যত্ন করে তাদের অমতে বিয়ে দিয়ে তাদেরকে চরম অসুখী করেন। একটাই অমূল্য জীবনে পছন্দের মানুষের সাথে সুখে-দুখে জীবন কাটানোর আনন্দের তুলনায় সম্পদ, জাত, ধর্ম ইত্যাদি কোন কিছুই যে গুরুত্বপূর্ণ নয়, একথা অভিভাবকদের কে বোঝাবে? অনেক বাবামা মেয়ের ও ছেলের বউয়ের পড়া বন্ধ করে দেন, চাকরী ছাড়ান। এসব মেয়েদের প্রতি নির্যাতন।

শেষকথাঃ প্রতিটা শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম প্রতিষ্ঠান হল তার বাড়ী, তার পরিবার। এটিই তার আচরণ, মূল্যবোধ, ধারণা, বিশ্বাস, নৈতিকতা, সাহস, শিক্ষা.. ইত্যাদির ভিত্তি তৈরী করে দেয়। এই ভিত্তিই তার সারাজীবনের আচরণের মূল চাবিকাঠি। এখান থেকে সে যা শিখবে, সারাজীবন সে তাইই করবে। পরিবারে সে ভাল কিছু শিখলে সে ভাল হবে, নাহলে খারাপ। 

ছেলেদেরকে ছোটবেলা থেকেই বেশী প্রাধান্য না দিয়ে সমান প্রাধান্য দিতে হবে। মেয়েদের কে মানুষ ভাবতে শেখাতে হবে যাতে সে বড় হয়ে মেয়েদেরকে অপমান, নির্যাতন বা ছোট মনে না করে। এটা খুব জরুরী।
বাবাদের উচিত ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা পরিজনদের সারপ্রাইজ দেয়া। সাধ্যমত সন্তানকে উপহার কিনে দেয়া, পরিবার নিয়ে কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে বা খেতে যাওয়া, আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, অসুস্হ রিলেটিভদের দেখতে যাওয়া, ছুটিতে আত্মীয়দের বাড়ী বা দেশের বাড়ী বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি। কোনমতেই বিশেষ দিনগুলো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এতে পরিবার আপনার কাছে গুরুত্বহীন হয়ে গেছে, এমন বাজে অনুভূতি তৈরী হয়। মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিত কোন উপহার দিন, বেড়াতে যান। তাহলে সন্তান বুঝবে আপনি তার আচরণে খুশী। 

সন্তানকে ভালবাসুন। পৃথিবীর কোন সন্তানই যেন কোন নির্যাতনের শিকার না হয়। আর আশা করছি, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হোক। কারণ এই শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমিও আমার সন্তানকে নির্যাতন করতে বাধ্য হচ্ছি। সরি বাবা, সরি।

Monday, July 17, 2017

একটি শিশুর প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শিশুটির জীবন বাঁচাতে ...

খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নেই । মাত্র ১৬ লাখ টাকা ! আর প্রয়োজন আপনাদের ভালোবাসা । একটিবারের জন্য এগিয়ে আসুন বিশ ,পঞ্চাশ, একশ টাকা যা আপনার সামর্থে কুলোয় তাই দিয়ে সহযোগিতার হাতটা বাড়িয়ে দিন । আসুন না সবাই মিলে একটু মানবতার পাশে দাঁড়াই , একটি মুখের হাঁসি ফুঁটায় । 

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শিশুটির জরুরী অপারেশন করা প্রয়োজন । প্রয়োজন ১৬ লক্ষ টাকার । আপনার সহযোগিতার হাতটা বাড়িয়ে দিন এই ঠিকানায় –

নামঃ জান্নাত 
বয়সঃ ০৩ বছর 
বাবার নামঃ ওয়াসিম ওসমান 
ঠিকানাঃ সৈয়দ চান মৌলভির বাড়ি 
সন্দ্বীপ পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড 

Tareq & Jahid

Ac No: 07312100056565
Exim Bank Ltd , Sandwip Branch

BKash No- 
01816861671 (Personal)

Contact: 
Tareq : 01715161938
Shimul: 01816861671

Wednesday, July 12, 2017

যেহেতু আপনি নারায়ণগঞ্জে থাকেন, তাই আপনাকে চুপ থাকতেই হবে ।

এই শহরে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হবে কিন্তু চুপ থাকবেন। ত্বকীর মত নিষ্পাপ শিশুটিকেও নির্দয় ভাবে বুকের উপর নৃত্য করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিবে তারপরও আপনি চুপ থাকবেন। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে সাত সাতটি তাজা প্রান হত্যা করে লাশের পেট কেটে ডুবিয়ে দেয়া হবে, আপনাকে কিন্তু চুপ থাকতেই হবে। উজ্জ্বল, আশিক,চঞ্চল, মিঠুর মত সংস্কৃতিমনা ছেলে গুলোকে হত্যা করা হবেই, তবু আপনাকে চুপ থাকতেই হবে । ব্যাবসা করেন চাঁদা দিতেই হবে, সব জানেন কিন্তু চুপ থাকবেন। কুড়ি টাকার বাস ভাড়া চাঁদাবাজির কারনে ৫৫ টাকা দিয়ে যাবেন, সব বুঝলেও চুপ থাকবেন। কবি, সাহিত্যিক, বিরোধী মতকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হবে, শহীদ মিনারে মারা হবে, শিক্ষক কান ধরে উঠবে - বসবে, সম্মানিত সাংবাদিকদের খা... পুত বলে গালি দেয়া হবে, এগুলো দেখবেন শুনবেন কিন্তু আপনাকে চুপ থাকতে হবে । কারন এটা নারায়ণগঞ্জ। এ শহরে গুম , অপহরণ , হত্যা , সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদকব্যবসা হবে তারপরও আপনাকে চুপই থাকতে হবে কারন এখানে এখনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান। সম্রাট, মহারাজা, যুবরাজদের কিংবা পাইক পেয়াদেরও কুনজরে পড়লে বেঘোরে জীবনটা হারাতে পারেন। তাই জীবনের মায়া করুন, সব কিছু হজম করে চুপ করে থাকাই আপনার নিয়তি । কারন এটা নারায়ণগঞ্জ, তাই চুপ থাকুন।

Tuesday, July 11, 2017

জাতীয় সংসদে শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর নাম প্রকাশ

জাতীয় সংসদে খেলাপী ঋণের তথ্য ও তালিকা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশে মোট খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা (প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার)। এই টাকা দিয়ে পাঁচটির মতো পদ্মাসেতু তৈরী বা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব।
শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদের চিনে রাখুন। জনগণ খেলাপী ঋণ তো আদায় করে দিতে পারবে না তবে চেষ্টা করলে সামাজিক চাপ এবং/বা প্রতিরোধ তো করতে পারে।
শীর্ষ ১০০ খেলাপীর তালিকাঃ
মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স
জেসমিন ভেজিটেবল অয়েল
ম্যাক্স স্পিনিং মিলস
বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
ঢাকা ট্রেডিং হাউজ
আনোয়ার স্পিনিং মিলস
ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ
কোয়ান্টাম পাওয়াস সিস্টেমস
এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রডাক্ট
আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল
হল মার্ক ফ্যাশন
মুন্নু ফেবরিক্স
ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স
সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েল
নুরজাহান সুপার অয়েল
.
সালেহ কার্পেট মিলস
এস কে স্টিল
চৌধুরী নীটওয়্যারস
রনকা শোয়েল কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস
টি এন্ড ব্রাদার নীট কম্পোজিট
তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট
রহমান স্পিনিং মিলস
এস স্পিনিং লাইন
হাজী ইসলাম উদ্দিন স্পিনিং মিলস
গ্রাম বাংলা এনপিকেএস ফার্টিলাইজার এন্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্টিজ
টেলি বার্তা
কটন করপোরেশন
ভারগো মিডিয়া
সোনালী জুট মিলস
এক্সপার টেক
এমবিএ গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল
ওয়াল মার্ট ফ্যাশন
ওয়ান ডেনিম মিলস
অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ
হিমালয় পেপার এন্ড বোর্ড মিলস
এম কে শিপ বিল্ডার্স এন্ড স্টিলস
রনকা ডেনিম টেক্সটাইল মিলস।
.
ম্যাক শিপ বিল্ডার্স
বিশ্বাস গার্মেন্টস
মাস্টার্ড ট্রেডিং
হিন্দুল ওয়ালি টেক্সটাইল
ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম
কাপিট্যাল বনানী ওয়ান
মেরিন ভেজিট্যাবল অয়েল
অর্জন কার্পেট এন্ড জুট ওয়েভিং
এ জামান এন্ড ব্রাদার্স
অরনেট সার্ভিসেস
দোয়েল অ্যাপারেল
আশিক কম্পোটিজ টেক্সটাইল মিলস
মুন বাংলাদেশ
মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স
এইচআর স্পিনিং মিলস
বিসমিল্লাহ টাওয়েলস
কেয়া ইয়ার্ন মিলস
তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ
অ্যাপেক্স ওয়েভিং এন্ড ফিনিশিং মিলস
দ্য ওয়েল টেক্স
ডেল্টা সিস্টেমস
জাহিদ এন্টারপ্রাইজ
হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা
নিউ রাখী টেক্সটাইলম মিলস
আলী পেপার মিলস
অল টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
নর্দার্ন ডিস্টিলারিজ
লাকি শিপ বিল্ডার্স
যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল
মাকসুদা স্পিনিং মিলস
শাপলা ফ্লাওয়ার মিলস
সিদ্দিক এন্ড কোম্পানী
যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল
মনোয়ারা ট্রেডিং
একে জুট ট্রেডিং
মাহাবুব স্পিনিং
.
আল আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুট
প্রফিউশন টেক্সটাইল
মা টেক্স
সুপার সিক্স স্টার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড
টেকনো ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
বিসমিল্লাহ টাওয়েল
ন্যাম করপোরেশন
জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পিএ
সর্দার অ্যাপারেলস
জেড এন্ড জে ইন্টারন্যাশনাল
বিশ্বাস টেক্সটাইলস
মডার্ণ স্টিল মিলস
নিউ অটো ডিফাইন
অনিকা এন্টারপ্রাইজ
ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ
মোবারক আলী স্পিনিং মিলস
আফিল জুট মিলস
রেজা জুট ট্রেডিং
আর কে ফুডস
আলফা টোবাকো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী
ফেয়ার এক্সপো ওয়েভিং মিলস
কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড রিসার্স সেন্টার
ফিয়াস এন্টারপ্রাইজ।
.
সংবাদসূত্রঃ বিডিনিউজ 
জাতীয় সংসদে খেলাপী ঋণের তথ্য ও তালিকা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশে মোট খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা (প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার)। এই টাকা দিয়ে পাঁচটির মতো পদ্মাসেতু তৈরী বা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব।
শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদের চিনে রাখুন। জনগণ খেলাপী ঋণ তো আদায় করে দিতে পারবে না তবে চেষ্টা করলে সামাজিক চাপ এবং/বা প্রতিরোধ তো করতে পারে।
শীর্ষ ১০০ খেলাপীর তালিকাঃ
মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স
জেসমিন ভেজিটেবল অয়েল
ম্যাক্স স্পিনিং মিলস
বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
ঢাকা ট্রেডিং হাউজ
আনোয়ার স্পিনিং মিলস
ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ
কোয়ান্টাম পাওয়াস সিস্টেমস
এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রডাক্ট
আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল
হল মার্ক ফ্যাশন
মুন্নু ফেবরিক্স
ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স
সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েল
নুরজাহান সুপার অয়েল
.
সালেহ কার্পেট মিলস
এস কে স্টিল
চৌধুরী নীটওয়্যারস
রনকা শোয়েল কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস
টি এন্ড ব্রাদার নীট কম্পোজিট
তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট
রহমান স্পিনিং মিলস
এস স্পিনিং লাইন
হাজী ইসলাম উদ্দিন স্পিনিং মিলস
গ্রাম বাংলা এনপিকেএস ফার্টিলাইজার এন্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্টিজ
টেলি বার্তা
কটন করপোরেশন
ভারগো মিডিয়া
সোনালী জুট মিলস
এক্সপার টেক
এমবিএ গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল
ওয়াল মার্ট ফ্যাশন
ওয়ান ডেনিম মিলস
অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ
হিমালয় পেপার এন্ড বোর্ড মিলস
এম কে শিপ বিল্ডার্স এন্ড স্টিলস
রনকা ডেনিম টেক্সটাইল মিলস।
.
ম্যাক শিপ বিল্ডার্স
বিশ্বাস গার্মেন্টস
মাস্টার্ড ট্রেডিং
হিন্দুল ওয়ালি টেক্সটাইল
ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম
কাপিট্যাল বনানী ওয়ান
মেরিন ভেজিট্যাবল অয়েল
অর্জন কার্পেট এন্ড জুট ওয়েভিং
এ জামান এন্ড ব্রাদার্স
অরনেট সার্ভিসেস
দোয়েল অ্যাপারেল
আশিক কম্পোটিজ টেক্সটাইল মিলস
মুন বাংলাদেশ
মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স
এইচআর স্পিনিং মিলস
বিসমিল্লাহ টাওয়েলস
কেয়া ইয়ার্ন মিলস
তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ
অ্যাপেক্স ওয়েভিং এন্ড ফিনিশিং মিলস
দ্য ওয়েল টেক্স
ডেল্টা সিস্টেমস
জাহিদ এন্টারপ্রাইজ
হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা
নিউ রাখী টেক্সটাইলম মিলস
আলী পেপার মিলস
অল টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
নর্দার্ন ডিস্টিলারিজ
লাকি শিপ বিল্ডার্স
যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল
মাকসুদা স্পিনিং মিলস
শাপলা ফ্লাওয়ার মিলস
সিদ্দিক এন্ড কোম্পানী
যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল
মনোয়ারা ট্রেডিং
একে জুট ট্রেডিং
মাহাবুব স্পিনিং
.
আল আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুট
প্রফিউশন টেক্সটাইল
মা টেক্স
সুপার সিক্স স্টার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড
টেকনো ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
বিসমিল্লাহ টাওয়েল
ন্যাম করপোরেশন
জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পিএ
সর্দার অ্যাপারেলস
জেড এন্ড জে ইন্টারন্যাশনাল
বিশ্বাস টেক্সটাইলস
মডার্ণ স্টিল মিলস
নিউ অটো ডিফাইন
অনিকা এন্টারপ্রাইজ
ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ
মোবারক আলী স্পিনিং মিলস
আফিল জুট মিলস
রেজা জুট ট্রেডিং
আর কে ফুডস
আলফা টোবাকো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী
ফেয়ার এক্সপো ওয়েভিং মিলস
কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড রিসার্স সেন্টার
ফিয়াস এন্টারপ্রাইজ।
.
সংবাদসূত্রঃ বিডিনিউজ

Monday, June 12, 2017

Remembering Manzarul Islam

TEN years back, 22-year-old Manzarul Islam was heading towards a roadside shop on a motorbike to try some Chui Jhal. Fate, though, had a cruel plan in store

Chui Jhal, a spicy meat curry is a must in Khulna, I am told. It's a preparation local to the western part of Bangladesh with the principal ingredient being a fragrant and fibrous plant stem that renders a uniquely piquant flavour to the mutton or beef that it is cooked with. Like in most parts of Bangladesh and West Bengal, it is accompanied with bhat, or rice, that also helps in soaking the heat. I am warned the dish is not meant for weak tummies, but after not being disappointed even once with the food in Bangladesh, I am happy to ignore the warning.
Like with most good things, finding the right place to eat Chui Jhal means you have to trust the locals' sense of taste and follow their directions. Such places do not hit you just with a dash of flavour on your tastebuds, they create a story. One needs to follow the trail, take the narrow gullies, walk through the crowds, drive through the empty streets and smell the world's smells to prepare the senses for the climax. The appetite gets worked with the body wanting the food as much as your brain. It's all part of the recipe.
Chui Jhal maintains that allure for the locals, including the numerous cricketers that have come from Khulna. Some say it is food worth dying for. Mashrafe Mortaza, who started playing his first-class cricket in the town, is quite a fan and ensures he makes the trip to the roadside shops when he is in town. On the night of March 16, 2007, one of his closest friends, Manzarul Islam, made a similar trip too, a trip that happened to be his last.
Along with his friend Sajjadul Hasan, Manzarul was headed for Chui Jhal on a motorbike but lost control and collided with a minibus. At 22, Manzarul was the youngest Test cricketer to die. Sajjadul, also a cricketer from Khulna, died too.
The Bangladesh team received the news of the accident just before their World Cup tie against India, in Trinidad. The team was distraught but Mashrafe picked up four wickets in the match to cause one of the major upsets. He had wanted to win that match for his friend. On March 16, 2012, Bangladesh defeated India again in their Asia Cup tie. Mashrafe was the leader of the bowling there too, with 2 for 44.
A promising left-handed batsman who bowled left-arm spin, Manzarul played first-class cricket for Khulna Division along with Mashrafe. After three seasons, he graduated to the international level, making his debut in an ODI against England in 2003.
"He was a hard-working cricketer, someone who could bat and bowl," Dav Whatmore, who was the coach of the Bangladesh side then, said. Manzarul went on to play six Test matches along with the 25 ODIs but could not make a comeback after being dropped in 2006. He came close to playing an international at his home ground that year but could not find a place in the XI. He spent the evening broken and upset at his house near the north-western corner of the ground.
Manzarul was the youngest of three brothers but his mother now lives alone in their family home, a short walk from the Sheikh Abu Naser stadium. A narrow concrete road with small, simple houses on either side, all belonging to the extended family, leads to Manzarul's two-storey house, the last one on the road. Manzarul's mother receives us at the door and walks us through the house. Right after the verandah entrance is a glassed cabinet with numerous trophies. "Some of them have been burgled," Manzarul's mother says before leading us to the first floor, to his son's bedroom.
Along with his friend Sajjadul Hasan, Manzarul was headed for Chui Jhal on a motorbike but lost control and collided with a minibus. At 22, Manzarul was the youngest Test cricketer to die. Sajjadul, also a cricketer from Khulna, died too
The room with pink walls, two large windows and a double bed is basic but it has been maintained in the state Manzarul left it. There is an autographed bat by the wooden mirror, and there are the parrot green Bangladesh pads with their paint chipping standing on one corner on top of a BCB logo-encrusted cricket kit. There is a Vampire bat next to it followed by a wooden rack that has a row of shoes, all wrapped up in transparent plastic. To the other side is a big chest on top of which are probably Manzarul's most prized possessions. His two Bangladesh helmets and encased in a glass box, his forest green Test cap. Behind them is a picture of him taken at Lord's.
His mother also brings us an envelope with some old pictures. "I don't know why I live," she says. "Two years after my son, his father, too, passed away due to cancer." The sadness can be felt in her voice but she maintains her composure as she talks. "Mashrafe pays me a visit from time to time. He considers me like his own mother," she says. One of the regrets that Manzarul had was that he never got to play an international here, she says, before adding that part of the ground was built on their ancestral land.
In 2012, the BCB president paid her a visit before the ground's inaugural Test and asked if she needed anything. "I asked for a stand to be named after my son," she says. The BCB obliged within two days, naming the stand closest to their house as Manzarul Islam Rana stand. After spending half an hour, we leave quietly. The family's local friend then takes us to the grave, made on a family plot next to one of their houses. It's an unassuming mound in an unkempt garden of a deserted house the gate to which is locked. There is no tombstone. Unlike the brightly-painted banner under the double-arched roof of the north-western stand in the stadium, the only marker to the grave is a marble plaque with fading lettering on the outside of the boundary wall. In Bangla, it says -
Former Bangladesh national cricketer
Marhoom Kazi Manzarul Islam Rana
May 4, 1984 - March 16, 2007