বাংলাদেশের গণতন্ত্রঃ হাসিনা, খালেদা, তারেক, জয় গণতান্ত্রিক চেতনার উৎস বিন্দু, বাকী সব- 'ভ' তে ও কার 'দ' তে আ কার এবং ই।
দেশে কি ধরণের গণতন্ত্র আছে সবাই জানি, খালিদার আমলেও এই গণতন্ত্রের হাল হকিকত যে আরও নাজুক ছিল তাও আমাদের কমবেশী জানা। ঐ সময়েই সরকারের প্যারালাল আরেক সরকার গড়ে উঠেছিল উত্তরের জনপদগুলোতে বাংলা ভাইর হাত ধরে সে স্মৃতি বেশীদিন আগের নয়।
এখন কথা হচ্ছে আমাদের শোষিত হতে হবে আওয়ামী যদুরাম কিংবা বিএনপি নামক কদুখানদের দ্বারা। কদুখানদের যে সাংগঠনিক শক্তি তাতে যদুরামদের ক্ষমতার মধুর হাড়ি থেকে মুখ সরানো তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।
ধরুন আরও ৭/৮ বছর আওয়ামী যদুরামরা ক্ষমতায় থাকবে যা অবস্থা দৃষ্টে নিশ্চিতই মনে হয়, আর যদি তাই হয় তাহলে কদুখানদের অবস্থা কি দাঁড়াবে? আমার এক বন্ধু যিনি কদুখান নেত্রীর একনিষ্ট ভক্ত সে বলল তার নেত্রীর এক পা কব্বরে আরেক পা কলার ছোবড়ায়, যে কোন মুহুর্তে চিৎপটাং। আল্লাহ না করুক যদি কদুখান নেত্রী এই ৭/৮ বছরের মধ্যে মারা যায় তাহলে বিএনপির নেতৃত্বের হাল কে ধরবে?
আসুন তার একটা সম্ভাব্য দৃশ্যপট নিয়ে আমাদের ছোট্ট একটা শর্ট ফিল্প দেখা হয়ে যাক। ২১ আগষ্টের সমাবেশে ঢাকাতে আওয়ামীলীগের সমাবেশে বোমা হামলা। ২৫/৩০ জন মানুষের রক্তাক্ত বিভীষিকাময় সেই মৃত্যু। খন্ডিত হাত, পা, মাথা এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, জজমিয়া নাটক। প্রহসনমূলক বিচারের নাটিকা। ১০ ট্রাক অস্র, অস্র লাপাত্তা।
- কি বুঝলেন?
এবার চলুন আওয়ামীলীগ আমলে ধৃত বাবরের বিচারিক কার্যক্রমে একটু চোখ বুলাই। আচ্ছা এই যে বাংলা ভাই, জঙ্গি এত মানুষের বিচার দেখে আপনারা অবাক হয়ে ভাবছেন না বাবরের বিচার কাজ সম্পন্ন হতে এত সময় লাগছে কেন? বাবরকে আপনারা জেল থেকে আদালতে যেতে আসতে কমবেশী সকলেই দেখেন। তাকে কি জীবন্ত মানুষ মনে হয়? বলুনতো বাবর এই রকম জীবন্মৃত অবস্থায় কতদিন থাকবে?
আপনাদের একটা সরল সমীকরণ এঁকে দেই, বাবর ততদিন এরকম অর্ধ্মৃত অবস্থায় থাকবে যতদিন হাসিনা তাকে সে অবস্থায় রাখার প্রয়োজন বোধ করেন। বাবর হাসিনার তুরুপের তাস, তুরুপের ছোট বড় তাস আরও আছে সে আলোচনা অন্য সময়েও করা যাবে। ১৯৮১ সাল, প্রবল ঝুঁকি নিয়েও হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন সেই সামরিক সরকারের আমলেও। হাসিনার গণতান্ত্রিক বা তথাকথিত বা যাই হোক তারেক দেশে ফেরার সাহস করছেন না, কিন্তু কেন? বিএনপি যারা করেন তারা থেকে শুরু করে তাদের উপদেষ্টাসহ সকলেই জানেন ২১ শে আগষ্টের বোমা হামলায় তারেকের সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ বেশ ভালোই আছে বর্তমান সরকারের হাতে। আর সাক্ষী হিসেবী রেডি তারেকেরই একসময়কার বিশ্বস্ত অনুচর বাবর। ৩০টি তাজা প্রাণের কষ্ট হাসিনা এত সহজে ভুলে যাবেন বলে যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে আছেন। তারেক অন্তত অত বোকা না, তাইতো থেমস নদীর পানি তার কাছে খুবই সুপেয়।
১৯৮১ সালের আগে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অবস্থা অনেকেই জানেন। খন্ড বিখন্ড আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব সংকটের সেই ক্রন্তিকালে হাসিনার আগমন ছিল রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগের টিকে থাকার জনয় এক বড় টনিক।
এখন কথা হচ্ছে কব্বরে এক পা আরেক পা কলার ছোবড়ায় দেয়া খালিদা যদি সত্যিই হইধাম ত্যাগ করেন কি হবে এক সময়ের রাজনৈতিক ডাইনোসার বিএনপির অবস্থা? তখন নেতৃত্ব শূন্য বিএনপির হাল ধরবে কে? সম্ভাব্য বহুভাগে বিভক্ত বিএনপি কি কালের গহ্ববরে হারিয়ে যাওয়া মুসলিমলোগের মতই ভাগ্যবরণ করবে? আর যদি তাই হয় তাতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের ৪৬ বছরের গণতন্ত্র, আর জবাবদিহিতার প্রয়োজনহীনতার কারণে আওয়ামীলীগের অভিযুক্ত শাসন সত্যিকার অর্থেই দুঃশাসনে পরিণত হবে।
No comments:
Post a Comment