ধর্ষিতা মেয়ে দুইটার খবর চলমান ইস্যুতে ( আমরা ইস্যু প্রিয় কিনা!) সোস্যাল নেটওয়ার্ক বলেন অথবা মিডিয়া পুরাই হট এখন, এমনকি চায়ের দোকান বা টংয়ের দোকানের টুকটাক আলোচনার অন্যতম টপিক হয়ে দাড়াল, কেউ বলে মেয়েদের দোষ তারা ওখানে গেল কেন! আর কেউ বলে ছেলে গুলোর জন্মের ঠিক নাই, একেকটা শুয়ারের বাচ্চা, এদের লিংগ কেটে ফেলা হউক।
.
এতো গেল জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া, টিভি নিউজ আর ইউটিউবে নির্যাতিত মেয়ের সাক্ষাতকার দেখলাম, বলছে তাদের সাথে কি দুর্ব্যবহার করা হয়ছে, একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, সাক্ষাতকার দেয়া মেয়েটা উড়না আবৃত,নিজেকে খুব ঢেকে রাখছেন যদিও চেহারা ব্লার করা হয়তো পরিচয় গোপন জন্য এমন করছে, তার উড়না পড়া নিয়েও আমার কোন আপত্তি নাই।
.
মশাই, আমার একটা জিনিস মাথায় ঢুকল না, গরু-ছাগল ক্ষেত খাওয়ার আগেই ঘেরাও দিলে ভাল না!!? খাওয়ার পর ঘেরাও দিলে আর কি হবে, যা খাওয়ার খেয়েই তো গেল, মা, মেয়ে, ভাই, বোন সবারই আছে সবার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ইসলাম পর্দা শুধুশুধুই ফরজ করে নাই, নিরাপত্তার জন্যই করছে, যেমনটা গরু - ছাগলের হাত থেকে ক্ষেত রক্ষা করার জন্য ঘেরাও ব্যাবহার করা হয়।
.
এই ঘটনাটা এখনো যারা আক্রান্ত হন নাই (ছেলে অথবা মেয়ে) তাদের জন্য শিক্ষা বা সতর্ক বার্তাও হতে পারে, জাষ্ট ফ্রেন্ড নামে যারা মৌজমাস্তিতে মেতে থাকেন প্লিজ নিজেকে শুধরিয়ে নিন, অন্তত আপনার পরিবারের সম্মানের দিকে থাকিয়ে হলেও শুধরিয়ে নিন, আক্রান্ত হলে শুধরিয়ে খুব একটা কাজ হবে না, মানুষের ঠাট্টা আর অবহেলার কারন হবেন, হয়তো তখন পৃথিবীতে বেচেঁ থাকাও অর্থহীন মনে হবে।
.
বিশ্বদার্শনিক গনেশ বানীঃ
১.আমরা এমন এক মনুষ্যজাতি, আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সহযোগীতার হাত না বাড়িয়ে ঘাড় চেপে ধরাটা বীরত্ব মনে করি।
২. ক্ষেতে ঘেরাও দিন গরু - ছাগলে হামলা করার আগেই।
No comments:
Post a Comment